*কম্প্রেশন টেস্ট কেন করা হয়?
*কম্প্রেশন টেস্ট কত প্রকার ও কি কি?
*কম্প্রেশন টেস্ট কিভাবে করতে হয়?
*কম্প্রেশন টেস্টঃ ইঞ্জিন সিলিন্ডারের ভিতরে চাপের পরিমান নির্ণয় করাকে কম্প্রেশন টেস্ট বলে।
*কম্প্রেশন টেস্ট যে কারনে করতে হয়?
ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা নির্ভর করে সিলিন্ডারের কম্প্রেশন চাপের উপর।চাপ কমে গেলে ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা কমে যায়।ইঞ্জিন স্টাট নিতে সময় নেয়।কোন ইঞ্জিন ওভারহোলিং করার আগে কম্প্রেশন টেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ইঞ্জিনের কম্প্রেশন চাপ কমে যাওয়ার মূল কারন হলো ভালভ ফেস ও সিট ক্ষয় এবং পিস্টন রিং সিলিন্ডার অথবা লাইনার ক্ষয় প্রাপ্ত।
*কম্প্রেশন টেস্ট কয় প্রকার ও কি কি?
কম্প্রেশন টেস্ট দুই প্রকার। যথা-১।ড্রাই টেস্ট ২। ওয়েট টেস্ট।
এখন আমরা জানব কম্প্রেশন টেস্টের ক্ষেত্রে কখন কোন ধরনের টেস্ট করতে হয়ঃ প্রথমত ড্রাই টেস্ট দিয়ে শুরু করতে হয়। প্রথমে ইঞ্জিনটি বন্ধ রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে।যে ইঞ্জিনটির কম্প্রেশন চাপ টেস্ট করবেন সেই ইঞ্জিনের কম্প্রেশন চাপ সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত PSI তা সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে।পেট্রোল ইঞ্জিনের কম্প্রেশন চাপ 180-200 PSI.স্পার্ক প্লাগ খুলে রাখতে হবে স্পার্ক প্লাগ হোল বা গর্তে অ্যাডাপ্টার সংযোগ করতে হবে। এরপর ইঞ্জিন ঙ্ক্যাংক কিং করতে হবে।এরপর কম্প্রেশন চাপ কত PSI পর্যন্ত দেখায় তা খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে এভাবে পর্যায়ক্রমে এক এক করে চারটি সিলিন্ডার টেস্ট করতে হবে এবং সবগুলো টেস্টের পাঠ খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে।এরপর দেখা গেল সবগুলো সিলিন্ডারের মধ্যে এক অথবা দুইটি সিলিন্ডারের কম্প্রেশন চাপ তুলনামূলক অনেক কম তাহলে বুঝতে হবে যে সিলিন্ডারের কম্প্রেশন চাপ কম ঐ সিলিন্ডারে অবশ্যই লিকেজ আছে।
তাহলে অবশ্যই ওয়েট টেস্ট করতে হবে আর ওয়েট টেস্ট করতে হলে সিলিন্ডারের ভিতর অল্প পরিমান লুবওয়েল প্রবেশ করাতে হবে। এরপর পুনরায় স্পার্ক প্লাগ হোলে বা গর্তে অ্যাডাপ্টার সংযোগ করতে হবে। সংযোগের পর যে সিলিন্ডারের কম্প্রেশন চাপ কম ছিল ঐ সিলিন্ডারের চাপ বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয় তখন বুঝতে হবে সিলিন্ডারের ওয়ালে ক্ষয় বা লিকেজ আছে।তখন সিলিন্ডার ওয়াল বোরিং করে হোনিং করতে হবে এবংওভার সাইজ পিস্টন ও পিস্টন রিং ব্যবহার করতে হবে। আর যদি লুবওয়েল প্রবেশ করানোর পর কম্প্রেশন চাপ না বাড়ে তখন বুঝতে হবে ভালভ সিট ক্ষয় প্রাপ্ত। তাহলে ভালভ সিট গ্রাইন্ডিং করতে হবে।